অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোট গ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা।’
আজ শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোট গ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা।’
তিনি বলেন, ‘দেশ এক ভয়ঙ্কর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। চারিদিকে শুধু অধিকার বঞ্চিত মানুষের করুন আর্তনাদ, হাহাকার আর বেদনাবিধুর উপাখ্যান। ভয় আর শঙ্কা মানুষের পিছু নিয়েছে। সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘গ্যারান্টিপত্র’ আদায় করা হয়েছে। আর সেজন্য জনগণের পছন্দে সরকার গঠন ও পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক রীতিকে গুম করা হয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভোটারশূন্য একতরফা নির্বাচনে দারুণ উল্লসিত প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই পদ্ধতিতে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় থাকার বিকল্প নেই। গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে জনগণের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকানো যায়। নেতাকর্মীদের ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশের প্রতি ধূলিকণায় দুর্নীতিকে ব্যাপ্ত করেছেন তিনি। উনি অবাধ নির্বাচনে ভয় পেলেও অবাধ দুর্নীতিকে প্রসারিত করেন অতি আনন্দে।’
বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে উস্কানি দিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মৃত্যু, মামলা, আসামি এবং আহতদের সংখ্যা তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এসময়ে ৩৯৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ১৫ জন, মৃত্যু একজন, মামলা দায়ের করা হয়েছে আটটি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১০৬৫ জনকে।’