কফি এবং চা শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি মনকেও করে চাঙ্গা। অনেকের হয়তো দিন শুরু হয় এককাপ চা অথবা কফি পান করে। তবে গর্ভাবস্থায় কফি খাওয়া নিরাপদ কি না এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। মা যখন কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করেন, এর পুষ্টিগুলো শিশুর শরীরে যায়। তেমনিভাবে খাবারের মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলোও শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কফি খাওয়া কি গর্ভাবস্থায় নিরাপদ? উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কফি খাওয়া কখনোই নিরাপদ নয়। এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ও অন্যান্য উপাদান ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি গর্ভপাতও ঘটাতে পারে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, কফি গর্ভপাত ঘটাতে পারে এবং এটি কম ওজনের শিশু জন্মদানের কারণও হতে পারে।’
এ ছাড়া কফির ক্যাফেইন হিমোগ্লোবিন শোষণে বাধা দেয়। এতে রক্তশূন্যতা হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে রুচি কমিয়ে দেয়। এতে গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী আরো বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। আর এটি কোষ্ঠকাঠিন্যকে বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার গর্ভাবস্থায় মাকে বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে চা-কফি খেলে ঘুম কমে যেতে পারে। এতে সন্তানসম্ভবা নারীর বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।’
কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ চায়ের তুলনায় বেশি থাকে বলে জানান তামান্না চৌধুরী। ‘তবে আমাদের দেশে যেভাবে চা দুধ দিয়ে বা জাল দিয়ে তৈরি করা হয় এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বাড়তে পারে’, বলেন তামান্না চৌধুরী।
তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, গর্ভাবস্থার নয় মাস চা-কফি সীমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো। আর সবচেয়ে ভালো হয় একেবারেই এড়িয়ে যেতে পারলে।