ভারতে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাংলাদেশে আসা ৩২১ তাবলিগের প্রচারককে ঢাকার দুটি মসজিদে রাখা হয়েছে। তাবলিগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী ১৯১ জনকে রাখা হয়েছে কাকরাইল জামে মসজিদে। অন্যদিকে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী বাকি ১৩০ জনকে রাখা হয়েছে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি মদিনা জামে মসজিদে।
পুলিশ জানায়, কোয়ারেন্টিন করে না রাখা হলেও তাবলিগের প্রচারে আসা ওই বিদেশিদের মসজিদ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কাকরাইল মসজিদ। সংশ্লিষ্ট রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে কাকরাইল মসজিদে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।’
ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের পাশাপাশি তাদের দেখাশোনার জন্য ৩০ থেকে ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া একটি মাদ্রাসার ৪০ জন শিক্ষার্থীও সেখানে রয়েছেন।
অন্যদিকে মদিনা মসজিদে অবস্থানরত ১৩০ জন সম্পর্কে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘’মদিনা মসজিদে বড় হওয়ায় ১৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে সেখানে আলাদা রাখা হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন।’
প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের একটি সমাবেশে যোগ দেওয়া অন্তত ৩শ’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া প্রায় ৯ হাজার মানুষ বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর দিল্লির প্রশাসন তাবলিগের কেন্দ্রস্থল নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদ বন্ধ ঘোষণা করেছে।