দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনাদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা-সংঘাতে জড়ানো যাবে না। ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
যৌথসভার শুরুতেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দল বাঁচানোর অপকৌশল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি এবং ষড়যন্ত্র দেশের বা আওয়ামী লীগের যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে দল সর্বদা সতর্ক থাকবে। সবকিছু মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ এই বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। আগামী দিনেও সব অপকৌশলকে পরাজিত করে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে আওয়ামী লীগ।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক মন্তব্যের বিষয়ে দেশ দুটি অবগত নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখানে হিট (আঘাত) করে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি মনে করি, এই আমেরিকার, কমনওয়েলথের, ওআইসির প্রতিনিধিরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন। আমার মনে হয়, যারা ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে, তারা তাদের দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া পজিটিভ (ইতিবাচক) মন্তব্যের বিষয়ে অবগত নয়।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা অশুভ রাজনীতির পথ অবলম্বন করেছে, তাদের পক্ষে জনগণ থাকেনি। ভবিষ্যতেও থাকবে না। দেশের জনগণ বিপুলভাবে ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে, যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে, ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে। বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা মাত্রাতিরিক্ত। এ মুহূর্তে বিএনপি ও জামায়াতের যে তথাকথিত আন্দোলন, তাতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। আমাদের মূল কাজ হবে ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।