দেশে বর্তমানে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছে বলে যে বিতর্ক উঠেছে, তা রাজনৈতিক কারণে করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন, মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।’
রিজভীর এমন দাবি সঠিক নয় দাবি করে আজ সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন এমপিরা কার্যভার গ্রহণ করবেন। ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানকে ঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট না করে দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছে বলে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। সংবিধানের যে আর্টিকেলগুলো আছে সেটি সম্পর্কে তাদের সম্যক জ্ঞান নেই। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।’
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তারা কীভাবে এমপির কার্যভার নেবেন সে বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী।
এমপির কার্যভার গ্রহণের আগেই তাদের অনেকে কীভাবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে বসলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রীর কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো মন্ত্রী এমপি হিসেবে কোনো কাজ করছেন না। এমপির কার্যভার গ্রহণ করার পরেই মন্ত্রীরা এমপির কাজগুলো করবেন।’