মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

নতুন প্রকল্প গ্রহণের আগে খরচ ও উপকারিতা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৬ বার

চলমান কোন কোন প্রকল্প স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত শেষ করা যাবে এবং তা থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে- সেটি চিহ্নিত করতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যেসব উন্নয়ন কর্মসূচি অল্প টাকায় শেষ হবে, সেগুলোকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমি মনে করি, এসব প্রকল্প যত দ্রুত শেষ করতে পারব তত দ্রুত দেশবাসী এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’

শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে নতুন সরকার গঠনের পর কমিশনের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি এই কমিশনের চেয়ারপারসনও।

তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি করা ও মেয়াদ বৃদ্ধি এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

প্রকল্পগুলোর ব্যয় ও প্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় প্রকল্প ব্যয়ের, কী পরিমাণ ঋণ লাগবে, সুদসহ আমাদের কত পরিশোধ করতে হবে, ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা কত সময় পাব এসব বিষয় গভীরভাবে বিবেচনা করুন।’

একইসাথে দেশের সেই পরিমাণ ঋণ নেয়ার সক্ষমতা আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে এটা খুবই প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, এছাড়া একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পের আয় ও কার্যকারিতা সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। এতে সাধারণ মানুষ কতটুকু লাভবান হবে এবং অর্থনীতিতে কতটুকু ঢুকবে। আমাদের সেদিকে নজর দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ, এ সময় এ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব, সে বিষয় সুনির্দিষ্ট হতে হবে। সেখান থেকে আমাদের জন্য সেরা সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। আর সে অনুযায়ী আমাদের কাজ শুরু করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর তার অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে না। যদিও এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে এবং সরকার এরই মধ্যে ২০৩২ সাল পর্যন্ত তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে এবং সেগুলো মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইতিবাচক সুফল যাতে দেশের প্রতিটি দরজায় পৌঁছে যায় এবং জনগণ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।

তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com