মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৩০০ জনের বেশি সদস্যকে সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে আকাশপথে তাদের পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের প্রথমে সমুদ্রপথে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, এটি নিরাপদ নয়। এখন আমরা ভাবছি, তারা যেভাবে চায় সেভাবেই তাদের সমুদ্রপথে পাঠানো হবে। আমরা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত আছি।’
বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনও মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে।
মিয়ানমারের সীমান্ত ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাবাসন কবে হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, ‘এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে সক্ষমতা বাড়িয়েছে। তারা তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে এখন তুমুল লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য বুধবার দুপুর পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনী, বিজিপি, পুলিশ, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার মোট ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।