বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী মহানগরের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এসব কোনো ঘটনার বিচার হয়নি। সুসময় আসলে সকল হত্যা-গুমের বিচার করবে বিএনপি।
শুক্রবার বিকালে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপির নেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।
নওগাঁ পৌরসভার রজাকপুর এলাকায় নিহত কামাল আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ রিপন, শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ হায়দার, সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার প্রমুখ।
মিজানুর রহমান বলেন, কামাল আহমেদকে হত্যার ঘটনার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি এই ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারেনি। অথচ নিহতের স্বজনেরা ও এলাকাবাসী সবাই জানে কামালকে নিহতের ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চেনে।
এ সময় নিহত বিএনপি নেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিজানুর রহমান। শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর রাত সোয়া ৯টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় কামাল আহমেদকে বহনকারী অটোরিকশার গতিরোধ করে হামলা করে হেলমেট ও মাস্ক পরা দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামাল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নওগাঁ সদর থানায় নিহত কামাল আহমেদের ছেলে নবাব আলী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ জেলা ট্রাক বন্দোবস্তকারী কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলাম নওগাঁ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। মতিবুল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।