পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের বিপুল রায় নিয়ে, বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল তখন বিএনপি ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছিল।’
আজ সোমবার বিকেলে নিজ বাসভবনে ঢাকা সফররত ভারতের আগরতলা প্রেসক্লাব প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের দিন খালেদা জিয়া সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। এতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিএনপি যে সরাসরি যুক্ত সেটিই প্রমাণিত। অতএব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তাদের দুর্নীতি লুটপাটের কারণে পরপর চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতিতে সাক্ষ্য দিতে এফবিআই বাংলাদেশে এসেছিল। বিএনপি নেতা মঈন খান হয়তো এসব কথা ভুলে গেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৭ জানুয়ারি বিএনপি আশা করেছিল নির্বাচন হবে না। মানুষ যাতে ভোট দিতে না যায় সেই প্রার্থনা করেছিল তারা। কিন্তু ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যখন একটি সুন্দর নির্বাচন হলো, প্রধানমন্ত্রীকে সারা বিশ্ব অভিনন্দন জানিয়েছে, জো বাইডেন চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রশংসা করেছে, তখন বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে।’
বিএনপি কর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ ধরা পড়ে চুরি ডাকাতি বা বিভিন্ন অপরাধে। বিএনপি তাদের কর্মী বলছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।’
মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সফল হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি তাদের সঙ্গে দেখা করেছে সেগুলো নিয়ে আমরা মাথা ঘামাতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে আরও নতুন উচ্চতায় নেওয়া যায়, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’