চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন না খেলেও এসময় অনেকেই সেহেরী এবং ইফতারে এতটাই খেয়ে ফেলেন যে, ওজন বেড়ে যায় লাগামছাড়া। পরবর্তীতে এ নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে।
অনেকে আবার খাবারের পরিমাণ বেশি না খেলেও, নানা রকম মুখরোচক খাবার বিশেষ করে ভাজা খাবার এবং মিষ্টি খেয়ে ফেলে। আর এতে হয় বিপত্তি। বৃদ্ধি পায় অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন।
তবে, আপনি যদি রোজার মাসে সেহরি ও ইফতারে খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন তাহলে ওজন কমানো বেশ সহজ হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সেহরির জন্য
১. দুই গ্লাস পানি, পাঁচ থেকে সাতটি ভেজানো বাদাম, একটি আখরোট এবং আপনার পছন্দের একটি ফল দিয়ে সেহরি শুরু করুন। পুষ্টিবিদ মোহিতার মতে, আপনি আপেল, পেঁপে, ডালিম এবং আঙুর থেকে বেছে নিতে পারেন।
২. আপনার পছন্দের সবজির সঙ্গে তিনটি ডিম রান্না করে এবং একটি টোস্ট বা পরোটার সঙ্গে মুড়িয়ে নিন। বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, ডিমের পালং শাক, মাশরুম, বেল মরিচ বা টমেটো যোগ করতে পারেন। এরপর সেটি খেয়ে নিন।
ইফতারের জন্য
১. খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙুন, তারপরে এক গ্লাস পানি, ডাবের পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি খান।
২. এর পরে এক কাপ চা এবং কিছু ভাজা ছোলা খেতে পারেন।
রাতের খাবারের জন্য
১. এক কাপ মুরগি বা মাছ বা চিংড়ি রাখুন।
২. দুই কাপ ভাজা বা ভাপানো সবজি যোগ করুন। সালাদও খেতে পারেন।
৩. কিছু ভাত বা রুটি নিন।
৪. মিষ্টি বা চকলেটের একটি ছোট টুকরো ডেজার্টের জন্য নিন।
রমজানে ওয়ার্কআউট খাবারের পরিকল্পনা
সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করার বা দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুষ্টিবিদ মোহিতা আরও বলেছেন যে, আপনি বাড়িতে কিছু ওজন উত্তোলন বা কম প্রভাবের কার্ডিও করতে পারেন।
– জিমে যাওয়ার আগে বা হাঁটতে যাওয়ার আগে একটি কলা খান।
– ওয়ার্কআউটের পরে পানির সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খান।
অবশ্যই সপ্তাহে একটি দিন নিজের পছন্দের খাবার উপভোগের জন্য রাখতে হবে তবে খাবারের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।