অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২০২৩ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ দেখিয়ে ছিল বিশ্বব্যাংক। তবে এ বছর প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ হবে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। এরপরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ হবে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এরপর ভুটান চার দশমিক নয় শতাংশ, মালদ্বীপ চার দশমিক সাত শতাংশ, নেপাল তিন দশমিক তিন শতাংশ, শ্রীলঙ্কা দুই দশমিক দুই শতাংশ এবং পাকিস্তান এক দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় সামগ্রিকভাবে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওনসর্গ এই প্রতিবেদনে জানান, ‘দক্ষিণ এশিয়া তার জনশক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যেটি একটি হাতছাড়া সুযোগের মতো। যদি এই অঞ্চলটি অন্যান্য উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির মতো কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিযুক্ত করে, তবে এর আউটপুট ১৬ শতাংশের বেশি হতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বল্পমেয়াদে উজ্জ্বল থাকবে। কিন্তু ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ধাক্কায় কালো মেঘ থাকবে। এজন্য প্রবৃদ্ধি আরো বাড়াতে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি জোরদার করতে হবে।