নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের এই টাউন হলটি ২০১৪ সালে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। এটার নাম কাগজে-কলমে টাউন হল হিসেবে আছে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল আরও বহু আগে ভেঙে ফেলার কথা ছিল। এটা জেলা প্রশাসকের সম্পত্তি, টোটাল দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের।’
আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘গতকাল সাংবাদিকের ফোন পেয়ে আমি জেনেছি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিএনপির কিছু নেতা আমাকে দায়ী করেছে। আমি তাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙতে চাইলে বহু আগেই ভাঙতাম। দিনের বেলা ভাঙতাম। এর আগেও তো ১৯৮৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে দিয়েছি। জীবিত অবস্থায়ই তাকে আটকে দিয়েছি সুতরাং রাতের বেলা ম্যুরাল ভাঙার প্রশ্নই আসে না।’
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে চাষাঢ়ায় অবস্থিত জিয়া হলের (টাউন হল) ওপরে থাকা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হয়। গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ম্যুরাল ভাঙার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দায়ী করেন সাখাওয়াত হোসেন।