তীব্র রোদে চারপাশ পুড়ছে। পুড়ছে ত্বকও। এ সময় ত্বকে কিছু দিন বা না দিন সবসময় সানস্ক্রিন দিতেই হবে। তবে সানস্ক্রিনেরও রকমভেদ রয়েছে। আর ত্বকের সঙ্গে মানানসই সানস্ক্রিন নির্বাচন করা জরুরি। সানস্ক্রিনের গায়ে এসপিএফ ৩০ বা ৫০ এমন লেখা থাকে। এই এসপিএফ ত্বককে ইউভি-বি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। ইউভি-এ রশ্মির সুরক্ষা নিশ্চিত করে পিএ+, পিএ++, বা পিএ+++ অথবা ব্রড স্পেকট্রাম। এই বিষয়টি বোঝা জরুরি।
সানস্ক্রিন দুই রকমের হয়। কেমিক্যাল ব্লকিং ও ফিজিক্যাল বা মিনারেল ব্লকিং এই দুই ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যাবে। কেমিক্যাল সানস্ক্রিনগুলো কাজ কিভাবে করে? ইউভি রশ্মিকে ত্বকে শোষণ করে নেয় ও পরে ছেড়ে দেয়। এই ধরনের পণ্যের প্রধান একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হলো অ্যাভোবেনজন, অক্সিবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট ও অক্টিনোক্সেট। ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের ওপর বসে থাকে আর ইউভি রশ্মিকে প্রতিফলিত করে। এর প্রধান উপাদান জিংক অক্সাইড ও টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড।
এছাড়া আরও আছে মিক্সড সানস্ক্রিন। এতে কেমিক্যাল ও মিনারেল সানস্ক্রিনের উপাদানগুলো একসঙ্গে? মিশ্রণ করা থাকে। বর্তমানে এই ধরনের সানস্ক্রিনের জনপ্রিয়তা অনেক।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকে ক্যামিকেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে সেরামাইড, হায়ারুলাইড অ্যাসিড আছে কি-না দেখে নিন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে ঘাম হয় প্রচুর। তাই এ ধরনের ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের ত্বকে জেল ও ম্যাটিফায়িং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
সংবেদনশীল ত্বক
ব্রণপ্রবণ ত্বকে অয়েল-ফ্রি ফর্মুলার, নন-কমেডোজেনিক মিনারেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও মিনারেল অর্থাৎ জিংক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড–সমৃদ্ধ, সুগন্ধমুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার উচিত। তবে বাজারে এখন নতুন প্রজন্মের কিছু মিক্সড সানস্ক্রিন পাওয়া যায়, যা ব্রণপ্রবণ ও সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার উপযোগী। কেউ যদি সংবেদনশীল বা ব্রণপ্রবণ ত্বকের চিকিৎসার জন্য ডক্সিসাইক্লিন, অ্যাকুটেন বা ট্রেটিনোইন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকবে হবে। কারণ, এই ধরনের টপিক্যাল চিকিৎসার জন্য ত্বক ফটোসেনসেটিভ বা আলোর প্রতি সংবেদশীল হয়ে পড়ে।