দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনের জন্য আজ রোববার (১৯ মে) সপ্তাহব্যাপী ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণই এ মেলার উদ্দেশ্য।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে মানোন্নয়ন কর্মসূচি, বড় কোম্পানি ও এসএমইর মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার নীতি এবং অর্থায়নে উন্নত প্রবেশাধিকার। রফতানি বাড়াতে মেলায় বৈদেশিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরে মন্ত্রণালয়।
আয়োজকরা জানান, মেলায় তৈরি পোশাক, পাট, হস্তশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হালকা প্রকৌশল, আইটি সেবা, জুয়েলারি ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
সারা বাংলাদেশ থেকে উদ্যোক্তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন করছেন।
এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ অংশ নেবে। মেলার প্রায় ৬০ শতাংশ উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা।
এতে ৩০টি ব্যাংক এবং ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে আরও ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত ৭ ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
স্বপ্না রানী সেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সূত্র : ইউএনবি