বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুই হয়নি, তবে উত্তেজনার কমতি নেই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে। দুই দলের লড়াই এখন আর অন্য আট-দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো নয়, খেলাটা আটকে নেই শুধু জয়-পরাজয়ে, জল গড়িয়েছে বহুদূরে।
শক্তি, সামর্থ্য কিংবা অর্জনে যদিও বেশ সমৃদ্ধ ভারত, এগিয়ে বাংলাদেশের থেকে বহুগুণে; তবুও দুই দলের লড়াই এখন বেশ আগুনে। একপেশে বলার তো সুযোগ নেইই, সাধারণ একটা ম্যাচেও উত্তেজনার পারদ বাড়ে।
ব্যাতিক্রম নয় এবারো, উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই। আইসিসি নির্ধারিত প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ফলে যা হবার তাই, গা গরমের একটা ম্যাচও হয়ে উঠেছে বেশ আকর্ষণীয়।
দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
এত বড় একটা আসর নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ যে সেই উন্মাদনা আরো বাড়িয়ে দেবে তা বলাই যায়।
তবে আলাদা গ্রুপে পড়ায় লিগ পর্বে দুই দলের দেখা হবেনা কোনো ভাবেই। যদিও শেষ আটে সুযোগ আছে। তবে তা অনেক জটিল হিসেব-নিকেশ আর সমীকরণের বিষয়।
তবে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই থেকে দর্শকদের মুখ ফেরাতে চায়নি আইসিসি। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মুখোমুখি করে দিয়েছে দুই দলকে। আজ ১ জুন শনিবার দেখা হবে দুই দলের। খেলা হবে নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দুই দলের ম্যাচটা শুধুই আকর্ষণীয় নয়, ঐতিহাসিক একটা ম্যাচ হতে চলেছে। এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হবে নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট মাঠের। ক্রিকেট বিশ্বে যা প্রথম কোনো অস্থায়ী স্টেডিয়াম।
যা ক’দিন আগেও ছিল শুধুই একটা মাঠ। ছিলো না কোনো গ্যালারি কিংবা উইকেটও। শুধুই বিশ্বকাপের জন্যে এই আয়োজন। আসর শেষে যা ফের হারিয়ে যাবে নিউইয়র্ক সিটি থেকে।
লাস ভেগাস থেকে গ্যালারিগুলো নিয়ে এসে সাজানো হয়েছে নাসাও। আর উইকেট নিয়ে আসা হয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে। অজিদের বিখ্যাত ড্রপ ইন পিচ ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। যা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং নিঃসন্দেহে।
শনিবার দুই দলের খেলা শুরু রাত আটটায়। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার। তবে সে জন্য হারাতে হবে ভারতকে, জিততে হবে টাইগারদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দল পা রাখে নিউইয়র্কে। অনুশীলনও করেছে এখানে টাইগাররা। তবে মাঠের মতো আবহাওয়াও বেশ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে সাকিব শান্তদের। উষ্ণ আবহাওয়ার মাঝে খানিক বাদে বাদে ঝড় বেশ চাপে রেখেছে টাইগারদের।