সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

বোরকা পরে, ত্রাণবাহী গাড়িতে করে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলি কমান্ডোরা

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪
  • ৪৭ বার

গাজার নুসারাত ক্যাম্পে ইসরাইলি কমান্ডোরা বোরকা পরে এবং ত্রাণবাহী গাড়িতে করে প্রবেশ করেছিল বলে জানা গেছে। আরব মিডিয়া আউটলেটগুলোতে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

সৌদি মালিকানাধীন আশারক সংবাদ চ্যানেলে স্থানীয় স্থানীয় অধিবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ইসরাইলের একটি বিশেষ বাহিনীর ইউনিটের সদস্যরা ম্যাট্রেস বোঝাই একটি সাদা গাড়িতে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিল। এই ইউনিটের কয়েকজন সদস্য ছিল নারী। তারা গাজার নারীদের মতো পোশাক পরেছিল।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানায় যে তারা রাফায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখানে এসেছে। তারা আরো জানায়, তারা নুসরাতের বাজারের কাছে একটি স্থান ভাড়া করেছে। ওই স্থানের কাছেই নোয়া আরগামানি নামের পণবন্দী আটক ছিল। সেখান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে আরেকটি ভবনে অপর তিন বন্দী ছিল।

ইসরাইলের ওয়াইনেট নিউজ সাইট জানায়, ইউনিটটিতে মিস্তারাভিমদের (অর্থ : যারা আরবদের মতো হয়ে গেছে) নিয়ে গঠিত ছিল। এই বিশেষ বাহিনীটি ফিলিস্তিনি এলাকায় কাজ করতে বিশেষভাবে দক্ষ। তাদের মধ্যে স্থানীয় আরব এবং সাবলীলভাবে আরবি বলতে পারে এমন লোক রয়েছে।

জানা গেছে, ইউনিটটি গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি নির্মাণ করা অস্থায়ী জেটির কাছাকাছি এলাকা থেকে এসেছিল।

ছদ্মবেশে থাকা ইসরাইলি কমান্ডোরা তাদের বহনকারী গাড়িটি থেকে বের হয়ে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। তারা পণবন্দীদের আটক থাকা ভবন দুটির দিকে এগিয়ে যায়, অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আশারককে জানায়, একটি ত্রাণ ট্রাকে করে ইসরাইলি বিশেষ বাহিনীর আরো কিছু সদস্য সেখানে প্রবেশ করে। ইসরাইলি বাহিনী অবশ্য এই অভিযানের সময় ত্রাণবাহী গাড়ি ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে।

পৃথক এক প্রতিবেদনে নুসারাত ক্যাম্পের এক অধিবাসী সৌদি নিউজ নেটওয়ার্ক আল-আরাবিয়াকে জানান, তিনি হামাসের সামরিক ইউনিফর্ম, হেলমেট এবং ব্যাজ পরা লোকদের তার প্রতিবেশীর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখেছেন। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে হয় যে তারা হামাসের সদস্য। কিন্তু পরে বোঝা যায়, তারা ছিল ইসরাইলি বিশেষ বাহিনীর সদস্য।

তিনি জানান, তার প্রতিবেশীর বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়। প্রতিটি দিকেই গুলি করা হয়।

হামাসের সাথে সংশ্লিষ্ট ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের প্রধান রামি আবদু জানান, ইসরাইলি বাহিনী আবদুল্লাহ আলজামালের বাড়িতে প্রবেশের জন্য মই ব্যবহার করে। তার বাড়ি থেকেই তিনজনকে উদ্ধার করে ইসরাইলি বাহিনী।

ওই অভিযানে ইসরাইলি বাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য অংশ নেয়। অভিযানের সময় ইসরাইলি বিমানবাহিনী সেখানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে।

ইসরাইলি নির্বিচার হামলায় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। নিহতদের বেশিভাগই নারী ও শিশু।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com