কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের দু’টি ক্যাম্পে পাহাড়ধসে ১১ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় এক শিশু রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত উখিয়ার ৮, ৯, ১০, ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের এই ঘটনা ঘটে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো: মিজানুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ক্যাম্প ১০-এর সাতজন এবং ক্যাম্প ৯-এর তিনজন রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের মধ্যে নয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হারেছ (২), আবু মেহের (২৫), শাহানা (২২), আবুল কালাম (৫০), সেলিমা খাতুন (৪৫), মোছা, ফুতুনি (৩৪), জয়নব বিবি, মো: হোসেন আহমদ (৫০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (১৮)।
এছাড়া রয়েছে স্থানীয় শিশু আব্দুল করিম (১২)। সে স্থানীয় থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম শাহ আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, ৯ এবং ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
তবে ঘটনাস্থল থেকে এক এনজিও কর্মকর্তা জানান, ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজন এবং ১০ নম্বর ক্যাম্পে সাতজনসহ মোট ১০ জন রোহিঙ্গা পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে।
থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে থাইংখালী ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ধসে কাঁটাতারের বাইরে শাহ আলমের বাড়িতে এসে পড়ে। এ সময় আব্দুল করিম নামে এক শিশু নিহত হয়। পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গারা পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। গতকাল থেকে কক্সবাজারের উখিয়ায় একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছে।