নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিল বটে বাংলাদেশ, তবে আটকে রাখতে পারলো না ভারতের রানের স্রোত। যেই স্রোতে ভেসে গেলেন সাকিব-রিশাদরা। ভারতের ইনিংস থামলো প্রায় দুই শ’ ছুঁই পুঁজি নিয়ে।
সুপার এইটে নিজেরদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের থেকে বড় লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার এন্টিগায় টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছে ভারত। এবারের বিশ্বকাপে এতো রান তাড় করে জেতেনি কোনো দল।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই সাকিবের থেকে আদায় করে নেয় ১৫ রান। যদিও সাকিবের হাত ধরেই আসে প্রথম উইকেট। ৩.৪ ওভারে ভারতীয় অধিনায়ককে ফেরান সাকিব, ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি।
দারুণ শুরু করেও রোহিত আটকা পড়েন ১১ বলে ২৩ রানে। তাকে ফিরিয়ে দারুণ এক মাইলফলকে পৌঁছান সাকিব। প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি।
পরের আঘাত আসে তানজিম সাকিবের থেকে। ৮.১ ওভারে দ্বিতীয়বার উদযাপনের উপলক্ষ পায় টাইগাররা। দারুণ এক ডেলিভারিতে ভেঙে দেন বিরাট কোহলির উইকেট। তাতে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করা হয়নি, কোহলি ফেরেন ২৮ বলে ৩৭ রানে।
তবে তৃতীয় উইকেটের দেখা পেতে দেরি হয়নি। এক বল পরই সেই উপলক্ষ এনে দেন তানজিম। এবার তার শিকার সূর্য কুমার। ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করলেও সূর্য পরের বলেই বোকা হয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ৮.৩ ওভারে ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত।
ভারতের চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ১১.৪ ওভারে, দলীয় ১০৮ রানে। রিশাদ হোসেন ফেরান রিশাভ পান্তকে। আউট হবার আগে অবশ্য নিজের কাজটা করে যান রিশাভ, ২৪ বলে করেন ৩৬ রান। এরপর পঞ্চাশোর্ধ রানের এক জুটি গড়েন হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে।
দেরিতে হলেও এই জুটিও থামান রিশাদ। ১৭.২ ওভারে ভেঙে দেন শিভাম দুবের উইকেট। ২৪ বলে ৩৪ করে আউট হন দুবে। তবে হার্দিককে থামানো যায়নি। ইনিংসের শেষ বলে ফিফটি তুলে অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৫০ রানে।