বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির সমাবেশ আজ শনিবার। দুপুর আড়াইটায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ কেন্দ্র করে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এতে ঢাকা মহানগর ছাড়াও এর আশাপাশের জেলা ও মহানগর থেকেও নেতাকর্মীদের অংশ নিতে বলা হয়েছে। বলা যায়, ২৮ অক্টোবরের পরে এটি বিএনপির বড় জমায়েত হতে যাচ্ছে।
বিএনপিপন্থী পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবেন। একই দাবিতে আগামী ১ জুলাই ঢাকা বাদে সব মহানগর ও ৩ জুলাই সব জেলায়ও সমাবেশ করবে। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেবেন।
আজ নয়া পল্টনের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এছাড়াও বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সমাবেশের জন্য সহযোগিতায় আশ্বাস মিলেছে এমনটা গত বুধবারের বিকেলে এমনটা জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
শুক্রবারের বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার এক নিরবচ্ছিন্ন অঙ্গীকারাবদ্ধ নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ। ইতোমধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশ সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে।’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকাবাসীসহ দলের সবস্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
নয়াপল্টনের এই সমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরে তিনি বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন এবং নানা দিকনির্দেশনা দেন।