সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, সারা দেশের সব মহাসড়ক ও রেলপথ এ ব্লকেডের আওতাভুক্ত থাকবে। আজ সকাল ১০টা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি। কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়কপথ, রেলপথ আওতাভুক্ত থাকবে। রাজধানীসহ দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আওতায় আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, কোটাপ্রথা সম্পূর্ণভাবে বাতিল আমরা চাই না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক মাত্রা কোটা রাখার দাবি আমরা আগেই স্পষ্ট করেছি। আদালতে ২০১৮ সালের পরিপত্র ঘোষণা করেছিল সেখানে কোটার সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। সেই পরিপত্র আমরা চাই না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫-১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিটা সরকার ও নির্বাহী বিভাগের প্রতি। আমাদের আন্দোলনটা হাইকোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যেহেতু আমাদের এক দফা হচ্ছে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকার ও নির্বাহী বিভাগ থেকে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক মাত্রা কোটা রেখে নতুন পরিপত্র ঘোষণা করে সংসদে আইন পাস করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বুধবার থেকে ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো অবরোধ করে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সফল করবে বলে আশা করছি। আজকের ব্লকেডে সড়কপথ, রেলপথ আওতাভুক্ত থাকবে। তবে এখনো মেট্রোরেল ব্লকেড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
কোটা আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফলে যে ভোগান্তি হচ্ছে, এর দায় সরকারের নির্বাহী বিভাগকে নিতে হবে। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। জনগণ, প্রশাসনের থেকে আমাদের এই আন্দোলনের পূর্ণ সর্মথন রয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে থাকতে চাই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, কোটা সংস্কারপূর্বক আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে দেয়া হোক। নতুবা অভিনব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীসমাজ।
কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক শারজিস আলম বলেন, আমাদের দাবিটি নির্বাহী বিভাগের কাছে। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে থাকতে চায়। যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র দেয়া হয় যে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক ঘোষণা দেয়া হবে, তাহলে আমরা রাজপথ ছেড়ে আনন্দ মিছিল করব।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। পরে ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন এক রায়ের মাধ্যমে আবার ফিরে আসে কোটা ব্যবস্থা।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে গত শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী গত দু’দিন রোববার ও সোমবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে ৬ দফা দাবি পেশ বুয়েট শিক্ষার্থীদের : সরকারি চাকরিতে যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রায় ১৫ মিনিটের মৌন সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ সময় চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার চেয়ে ছয় দফা দাবিতে লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে তারা।
গতকাল দুপুরে পর্যন্ত বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে এ সমাবেশে আয়োজন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ঘরে ঘরে খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে যদি হয় কোটার জয়, মেধার হবে পরাজয় ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সমাবেশ শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে অস্বীকৃতি জানান বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে কোটা সংস্কারের দাবিতে লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেন তারা।
লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় , গত ৫ জুন উচ্চ আদালত কর্তৃক ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়েছে। ফলে সারা দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সরকারি চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এই কোটা প্রথা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাত্মতা ঘোষণা করছে।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে কোটার বিপক্ষে ছয় দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিসমূহ হলো : ১) মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেন, তখন তিনি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং নারীদের জন্য যথাক্রমে ৩০% ও ১০% কোটার ব্যবস্থা করেন। তখন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা অনেকে শহীদ হওয়ার কারণে তাদের পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারায়। অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এ অবস্থায় তখন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য জাতির জনকের ৩০% কোটা ব্যবস্থা প্রদান করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ছিল। সংবিধানে অনগ্রসর অবস্থা বিবেচনায় কোটা দিয়ে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার কথা বলা আছে।
এ ছাড়া তৎকালীন নারী শিক্ষায় এই জাতি অনগ্রসর ছিল। যেসব নারী পড়াশোনা করেছেন তাদেরও অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখির হতে হয়েছে। সেজন্য নারীদের জন্যও কোটা থাকা প্রয়োজন ছিল। মাঝে কোটা সুবিধা বন্ধ থাকার পর আবার চালু হওয়াতে অনেক মুক্তিযোদ্ধার চাকরিতে প্রবেশের বয়স পেরিয়ে যায়। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত কোটা সুবিধা প্রদান করা যৌক্তিক ছিল। তবে বর্তমানে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সচ্ছল জীবন-যাপন করছে। তাদের পরিবারের নাতি-নাতনীদের আগের অনগ্রসর পরিস্থিতি মোকাবেলা করা লাগছে না। এক্ষেত্রে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিবেচনা করে তাদের সুবিধার্থে এবং মেধার স্বার্থে পূর্বের কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি ২) ২০০৪ সালের ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী নারীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৩১ শতাংশ। ২০০৮ সালে ছিল ৫১%।
সেখানে বর্তমানে মেয়েদের সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। যেখানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ (সূত্র : প্রথম আলো)। এ থেকে এটা বলা যায় যে, দেশে নারী শিক্ষায় ও যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে নারীরা তাদের আত্মমর্যাদা ও অধিকারের প্রতি যথেষ্ট সচেতন। এমতাবস্থায় ১০% নারী কোটা বজায় রাখা আত্মমর্যাদাশীল নারীদের প্রতি অসম্মানজনক। এমনকি আমাদের মাঝে উপস্থিত নারীরা তাদের জন্য এই বিশেষ কোটা সুবিধা চায় না। তাই নারী কোটাও সংস্কার করা উচিত। ৩) পূর্বে দেশের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বেশ কিছু প্রত্যন্ত জেলা ছিল, যারা অনগ্রসর ছিল।
যার জন্য ১০% জেলা কোটা রাখা হয়েছিল। বর্তমানে পদ্মা সেতু, যমুনা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটা উন্নত হয়েছে। সারা দেশ এখন একে-অপরের সাথে সংযুক্ত। তা ছাড়াও টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত জেলা বলতে কার্যত কিছু থাকছে না। তাই এখানেও ১০% কোটা রাখা ভিত্তিহীন। ৪) কোটা সংস্কারের পর বিভিন্ন কোটায় উপযুক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে শূন্যপদ থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৫) একটি বিশেষ কোটাকে যাতে কোনো ব্যক্তি তার জীবনের ধাপে ধাপে সুবিধা ভোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সঠিক অবকাঠামো গঠন করার আবশ্যক। ৬) কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
দেশ থেকে প্রতিনিয়ত মেধাবীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়ে আসছে। তার মানে মেধা ও মননের দিক দিয়ে দেশ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। যার ফলে আগামীর বাংলাদেশের কারিগর হবে দেশের মেধাবীরা। সেজন্য মেধার সর্বাত্মক সুযোগ বজায় রাখা কাম্য। তাই মেধাই হোক সবচেয়ে বড় কোটা। সোনার বাংলা গঠনে দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কার বিষয়ক যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সর্বাত্মকভাবে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করছি। আদালতের প্রতি মেধার মূল্যায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে অতি দ্রুত রায় প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল ও কোটা সংস্কার না করা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে। সরকারি চাকরিতে একটি বিশেষ শ্রেণীকে যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে শুরু হওয়া এই আন্দোলন আরো তীব্রতর হবে। এ সময় রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী দিল সেতারা সেবা বলেন, অবিলম্বে কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে। যাতে মেধাবীরা সুযোগ পান। সংবিধানে সমতা রক্ষার কথা বলা আছে; কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।
রাজশাহী কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, আপাতত আজকের মতো এ আন্দোলন কর্মসূচি সমাপ্ত করা হলো। তবে অবিলম্বে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন করা হবে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে আবার এ আন্দোলন কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, কোটা বাতিলের লাগাতার আন্দোলনে বরিশালে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনালের সামনে অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ৩টা থেকে একই মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) গেটের সামনে অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী গান-কবিতা আবৃত্তি করে। সন্ধ্যার পর মহাসড়কে মশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। দিনব্যাপী অবরোধের কারণে পাঁচ কিলোমিটার মহাসড়কজুড়ে সহস্রাধিক যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়।