কোটাবিরোধী আন্দোলনে এক দফা দাবিতে শুরু হয়েছে আজকের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবরোধ করেন।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘দফা এক দাবি এত, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ সহ বিভিন্ন কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা-ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু তখন সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এই অবস্থায় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।