জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন এলাকায় এলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়।
এ সময় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে হেলমেট পরা অবস্থায় সংঘর্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাসেবা নিতে আসতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু, মাহফুজ ইসলাম মেঘকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আওলাদ হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার আহত হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অমিতাভ বলেন, ‘আমি ৮টার সময়ে এসে অন্তত ২০-৩০ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েছি। রাত সাড়ে ৮টায় মেডিকেল সেন্টারে সর্বশেষ তথ্যমতে, অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত ২০-২৫ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় আসলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগে থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে প্রস্তুত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগে থেকে জানা সত্ত্বেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’