সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কারফিউ জারি না করলে শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখলের টার্গেট ছিল।’
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের জন্য খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কারফিউ জারির পর থেকে সেনাবাহিনী একটি গুলিও ছুড়েনি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত একাত্তরের মতো ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা ক্ষমতার জন্য সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য করছে এবং সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। আওয়ামী লীগকে নৃশংসতার দায়ে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী, অপরাধী নই।
দেশে চলমান সহিংসতা নিয়ে বিদেশিদের বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশ থেকে অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন। অনেক সংস্থা, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছেন। কারা সমন্বয় করছেন আমরা জানি। তাদেরকে বলব, কারও প্ররোচনায় বিবৃতি না দিয়ে এখানে এসে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটিএর ধ্বংসলীলা ও বিআরটিসির ৪৪টি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তা দেখুন।’
এ সময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।