সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির ব্যারিকেড ভেঙে চট্টগ্রাম আদালতে প্রবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা। আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত দোয়েল চত্বর এলাকায় স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী।
এর আগে আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে লালদিঘি এলাকায় আন্দোলনকারী বিক্ষোভ করে। ৩০ মিনিট সড়কে অবস্থান নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ১১টা ৪০ মিনিটে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালতে ঢুকে পড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীদের এগিয়ে নিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল ওয়ারীশ গণমাধ্যমকে বলেন, কারফিউ শিথিল হলেও সভা-সমাবেশ না করাসহ সাধারণ যে বিধি-নিষেধ, সেগুলো তো কার্যকর। তাই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে আজ বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের এই ঘোষণা দেন।