কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ‘রিমেম্বার দ্য হিরোস’ নামের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করবে তারা।
আজ বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাসের কালো ছায়ায় আচ্ছন্ন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার এই দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্রযন্ত্র, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবহিনী ও তাদের দলের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বর্বর গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার ও তার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও যৌথবাহিনীর মধ্যযুগীয় বর্বরতায় শহীদ হয়েছে শিশুসহ শত শত সাধারণ নাগরিক।’
এতে বলা হয়, চলছে রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানাদার বাহিনীর কায়দায় গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য। সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের রাস্তায় ধরে মোবাইল চেক, হয়রানির ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিদিনের চিত্র।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ ছাড়া আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপর ক্যাম্পাসের ভেতরে হামলা করেছে পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা শেহরীন আমিন মোনামী ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়েও হাত তুলেছে পুলিশের কিছু কর্মকর্তা। খুলনায়, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে, মহানগর ও শহরে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একটি স্বাধীন দেশে এমন নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘এমন ভয়ানক অন্ধকার পরিস্থিতিতে সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি ঘোষণা করছে।’
‘রিমেম্বার দ্য হিরোস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্যাতনের ভয়ঙ্কর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ এবং আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি করে শহীদদের স্মরণে ওপরের যেকোনো কনটেন্ট/লেখা লিখে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচার করা হবে।