মাসখানেক আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করলেও সাকিবের যেন দম ফুরানোর সময় নেই। বিশ্বকাপের পর কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশে এসে চলে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মেজর লিগ ক্রিকেটে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। সেই টুর্নামেন্ট শেষ করে বর্তমানে খেলছেন কানাডার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে, বাংলা টাইগার্সের হয়ে। দলটির অধিনায়কও তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। কানাডার লিগে মোটামুটি মানের পারফরম্যান্স দেখালেও মেজর লিগ ক্রিকেটে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। মাঠের বাইরের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না সাবেক এই নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডারের।
সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ। বহু মানুষ হারিয়েছেন প্রাণ। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও মুখ খুলেছেন। তবে সাকিব ছিলেন ব্যতিক্রম। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে একবারের জন্যও মুখ খোলেননি এই তারকা। সংকটের সময়ে দেশের সেরা এই ক্রিকেটারের চুপ থাকা মানতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। তাইতো কানাডার লিগেও সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার অবস্থান সম্পর্কে।
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে বাংলা টাইগার্স এবং টরন্টো ন্যাশনালসের মধ্যকারের খেলা শেষে এক প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ দর্শক সাকিবের উদ্দেশে ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, দেশের এই চলমান
অস্থিরতায় কেন তিনি নীরব? এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সাকিব পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন, ‘দেশের জন্য আপনি কী করেছেন?’
সাকিবের পাল্টা প্রশ্নের পর সেই দর্শক উত্তর দেন, ‘আমি তো আর এমপি (সংসদ সদস্য) না, আমি আমার পরিবারের দায়িত্ব পালন করছি।’ সাকিব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বারবার একইভাবে বলছিলেন, ‘দেশের জন্য আপনি কী করেছেন?’
বাগযুদ্ধের সময় সাকিবকে পদত্যাগেরও আহ্বান জানান ওই দর্শক। সে সময় নিরাপত্তারক্ষীরা সরিয়ে নেন সাকিবকে। ক্ষুব্ধ সাকিব নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জানতে চান, ওই দর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব কি না।
উত্তপ্ত সেই বাক্যবিনিময়ের ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। সাকিবের এমন আচরণের চরম সমালোচনা করেছেন ভক্তরা।