দেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্যই সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এরআগে বিকেল ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান বিএনপির মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের সাথে মতবিনিময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী ও ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকার মানুষের হত্যা করেছে, মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে যে পরিমাণ নির্যাতন করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তা থেকে মুক্তিতে নতুন সরকারের সাথে মুক্ত পরিবেশে বৈঠক করেছি আমরা।’
এখানে নির্বাচন নিয়ে আমরা কথা বলিনি এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন করতে সময় লাগবে আমরা সেই সময় দিয়েছি। সরকারকে প্রতিটি বিষয় আমরা সমর্থন দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, দেশে অস্থিরতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করা চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে। এগুলো জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’
তিনি জানান, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কি কি করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানও আমাদের শেয়ার করেছেন। সরকারকে সহায়তা করা দেশের প্রতিটি নাগরিককের কর্তব্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই মহলটি, যারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করে নিয়েছিল। তারাই আবার বিদেশে- ভারতে পালিয়ে গিয়ে আমাদের অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের যে গল্পের ফাঁদ পাতা হয়েছে, এর উদ্দেশ্যে হলো জনগণের বিজয়কে নস্যাৎ করা। ছাত্র-জনতা হত্যাকারী দলটি আবার কথা বলছে, যা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এ সরকার অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সাথে বলবে, কিন্তু কোনো গণহত্যাকারী রাজনৈতিক দলের সাথে নয়। তারা ছাত্র-জনতা ও শিশুদের, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে। দেশের মানুষ এই হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আছে।’