নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে লালবাগ থানা। মামলার আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়েছে। আবেদন গ্রহণের আগে দিনভর চলে নানা নাটকীয়তা।
আজ রবিবার মামলা দায়ের হতে পারে।
আন্দোলনে গিয়ে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ। এর এক মাস পর লালবাগ থানায় মামলা করতে আসেন তার বাবা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর শুরু হয় নাটকীয়তা।
শনিবার মধ্য রাতে বাবা কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত প্রায় সাড়ে ১২টা বাজে। কিন্তু এখনও মামলা নেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। একটা মামলা নিয়ে এত হয়রানি হতে হয়, সেটা আমি কখনও জানতাম না।’
এদিকে মামলার আবেদন নিতে দেরি করায় থানা ঘেরাও করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। প্রায় ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ।
আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এই মামলার এজাহার কপিসহ মোট ১২ পাতা গ্রহণ করেছেন ডিউটি অফিসার। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, রবিবার মামলাটি এজাহারভুক্ত হবে।
মামলার এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী’সহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে।
আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ শরীরে ৭১টি গুলি লাগে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।