পোশাকশ্রমিকদের মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হবে। ঈদের আগে কবে নাগাদ মজুরি ও বোনাস দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করতেই শ্রম ভবনে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসবেন সরকার-মালিকপক্ষ-শ্রমিক পক্ষের নেতারা। গত ১০ মে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনার প্রভাবে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়ে যায়। কাজ না থাকায় অনেক মালিক সরকারি সাধারণ ছুটিতে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে। এর পর মার্চের বেতনের দাবিতে ছুটি চলাকালেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে শ্রম ভবনে দফায় দফায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। গত ৪ মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এপ্রিল মাসে ৬৫ শতাংশ বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে প্রধান এজেন্ডা হচ্ছে- শ্রমিকদের মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস। মালিকরা কবে কীভাবে বেতন- বোনাস দেবেন সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া এপ্রিল মাসের বেতন এবং চলমান অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা হবে। সংসদ সদস্য ও সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া শ্রমিকপক্ষে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর। এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি আমাদের সময়কে বলেন, শ্রমিকদের মে মাসের বেতনের পাশাপাশি ঈদ বোনাসের পুরোটাই দাবি করছি। স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের এখন জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেক কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি। মিটিংয়ে আমরা মার্চ মাসের বেতনসহ সব বকেয়া বেতন এবং বিগত দিনের মতো ঈদ বোনাস শ্রমিকদের পুরোপুরি দেওয়ার দাবি জানানো হবে।