বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের বৈঠক হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ ও তাবিথ আউয়াল।
ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কত তাড়াতাড়ি আমরা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, সেই আলোচনাও এসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর বাইরেও যে সম্পর্কগুলো আছে, আগামী দিনে সেগুলোকে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে যে টাকা-পয়সা পাচার হয়েছে, এই টাকাগুলো ফেরত আনার বিষয়ে আমাদের দিক থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কারা কত টাকা পাচার করেছে, ইতিমধ্য সেইগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশে থেকে ইউকে (যুক্তরাজ্য) একটা বড় অংশের অর্থ পাচার হয়েছে, অনেকের নামও এসেছে এই ব্যাপারে। এই টাকাগুলো ফেরত আনার ব্যাপারে তাদের (যুক্তরাজ্য) ভূমিকা ও সহযোগিতার কথা আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতায় যাওয়া ও জবাবদিহি সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে নির্বাচন আয়োজন করতে সময় লাগতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে সরকার পতনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের সংখ্যা বিগত ১৫ বছরে হত্যা, গুম, নির্যাতন, মামলার বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে, বিচার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে যে ডেলিগেশন দেশে আসছে, এই বিষয়টি আমরা কীভাবে দেখছি—তা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, জাতিসংঘের যেই টিম আসছে, এটাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বলেছি, জাতিসংঘ যে তদন্ত করবে সেটা নিরপেক্ষ হবে। তদন্ত কমিটির যে প্রতিবেদন আসবে, সেটা আগামীতে বিচারকার্য পরিচালনা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’