রান্নার সময় পানিতে মিশে কিছু ভিটামিন কমে যায়। আবার কিছু ভিটামিন রান্নার সময় উত্তাপেও নষ্ট হয়ে যায়। তবে এসব উপাদান ও ভিটামিন অটুট থাকে ডিটক্স ওয়াটারে। সুস্থ থাকতে নিয়মিত পান করতে পারেন ভিটামিন সমৃদ্ধ ডিটক্স ওয়াটার।
কীভাবে বানাবেন
ফল, সবজি অথবা ভেষজের নির্যাস সমৃদ্ধ ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দের উপকরণ দিয়ে। একটি বড় কাচের জারে বা বোতলে পানি নিয়ে খোসা না ছাড়িয়ে পছন্দের রসালো ফল, সবজি অথবা ভেষজ উদ্ভিদ আলাদা আলাদাভাবে কিংবা একসঙ্গে স্লাইস করে মিশিয়ে নিন। মাল্টা, আনারস দিতে পারেন বোতলের মধ্যে। কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি যোগ করতে পারেন। এছাড়া লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা বা ধনেপাতা দিতে পারেন। প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো উপাদান মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন এই পানীয়। তবে ডিটক্স ওয়াটার তৈরিতে ৩টি উপাদানই যথেষ্ট। তবে গোটা ফল ব্যবহার করা যাবে না এতে। কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন এটি। চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই ঢেকে রাখবেন। লবণ, মসলা বা চিনি দেবেন না ডিটক্স ওয়াটারে।
কখন পান করবেন ডিটক্স ওয়াটার?
খালি পেটে পান করার প্রয়োজন নেই ডিটক্স ওয়াটার। বরং সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এ পানীয় পান করলে কারোর কারোর ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমন ডায়ারিয়া, বুক জ্বালা করা কিংবা অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। ডিটক্স ওয়াটার পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে মধ্যসকাল কিংবা বিকেলে নাস্তার পর।
ডিটক্স ওয়াটার কি ওজন কমায়?
ভেষজ ভেজানো পানি পান করলে দ্রুত ওজন কমে যায়- এই ধারণা রয়েছে অনেকেরই। ব্যাপারটি কি আসলেই তাই ‘ডিটক্স ওয়াটার আসলে কোনও ম্যাজিক নয়। এটি ওজন ও মেদ কমাতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সারাদিন যা ইচ্ছে তাই খেয়ে এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করলে মেদ ঝরার সম্ভাবনা নেই।’ মেদ ঝরাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি।