লেবাননে পকেটে থাকা পেজার বিস্ফোরণের একদিন পর ফের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এবার ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ হয়ে আরও ২০ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৫০ জন।
গোটা দেশজুড়েই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে হতাহতের খবর। বিস্ফোরণ ঘটেছে দোকানে থাকা যন্ত্রগুলোতেও। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু স্থাপনাও। লেবাননের বৈরুতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে রেড ক্রিসেন্ট। মাঠে কাজ করছে অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে পেজার বিস্ফোরণের মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে লেবাননে। এই হামলায় প্রাণহানি বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার। হামলার জন্য ইসরায়েলকে দুষছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ।
গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বিস্ফোরিত হতে থাকে হিজবুল্লাহ সদস্যদের পকেটে থাকা যোগাযোগ যন্ত্র পেজার। যার বেশিরভাগই ঘটে রাজধানী বৈরুতে। এতে গোষ্ঠীটির সদস্য ছাড়াও হতাহত হন বহু বেসামরিক মানুষ।
তবে এমন সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলিম দেশগুলো। আহতদের চিকিৎসা সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে ইরাক, ইরান, জর্ডান ও মিসর। বিপুল হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মধ্যপ্রাচ্যে বড় যুদ্ধের উসকানি দিতেই এমন হামলা বলে দাবি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
হামলার জন্য ইসরায়েলকে দুষছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ। তেল আবিবের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের ধারণা, পেজারগুলো সরবরাহের সময় তার মাইক্রোপ্রসেসরে পরিবর্তন ঘটিয়েছে ইসরায়েল। যে কারণেই একযোগে এমন বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হয়েছে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত পেজারগুলো তৈরি করেছে তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলো কোম্পানি। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হু চিং কুয়াং। হুয়ের দাবি, পেজারগুলো তৈরি করেছে ইউরোপের একটি কোম্পানি। তবে গোল্ড অ্যাপোলোর নাম ব্যবহারের বৈধতা আছে তাদের।