বৈরুতে শুক্রবার ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বৈরুতের উপকণ্ঠের আল-জামুস এলাকায় ১০তলা একটি ভবনে বৈঠকের সময় হিজবুল্লাহর অপারেশন্স কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল বিমান হামলায় নিহত হন। ওই সময় হিজবুল্লাহর এলিট রাদওয়ান ইউনিটের বৈঠক চলছিল। হামলায় আরো ১৬ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়।
হামলার পর অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অনেক পরিবার তাদের শিশু ও স্বজনদের খোঁজ করছিল।
সূত্র জানিয়েছে, আকিল এবং তার সহকর্মীরা ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষে বৈঠক করছিলেন। হামলার চার ঘণ্টা পরও উদ্ধারকর্মীরা তাদের লাশ বের করতে পারেনি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী আরব নিউজকে বলেছেন, হামলায় ভবনটি পুরোপুরি ধসে পড়েছে ফলে ভেতরে থাকা লোকদের সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। এটি ছিল আবাসিক ভবন।
ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, আকিল ছিলেন ‘প্রখ্যাত হিজবুল্লাহ সদস্য। তিনি দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধের নির্দেশনা দিতেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ইতোপূর্বে তার ব্যাপারে তথ্যের জন্য ৭০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে অভিহিত করে জানিয়েছিল, ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও মেরিন ব্যারাকে হামলার জন্য তিনি দায়ী।
ইসরাইল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে হত্যার জন্য ‘নিখুঁত’ হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানটি আল-কায়েম মসজিদের কাছে। এটি হিজবুল্লাহদের মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর এলাকাটি তাদের নিরাপত্তা জোন হিসেবে বিবেচিত।
দক্ষিণ লেবাননে এটি ছিল ইসরাইলের তৃতীয় বড় ধরনের হামলা। এক মাস আগে তারা হিজবুল্লাহর সামরিক কর্মকর্তা ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করে। এরও আগে জানুয়ারিতে হামাস নেতা সালেহ আল-আরোরিকে তারা হত্যা করে।
সূত্র : আরব নিউজ