যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের ইলিশও না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আপত্তি থাকার পরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা যা-ই বলুক, তিন হাজার টন রপ্তানির কথা বলা হয়েছে। আপনি দেখেন ৫ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ হয়। তিন হাজার টন চাঁদপুর ঘাটের একদিনের পরিমাণের চেয়েও কম।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। ইলিশ রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা আছে। ফরেন কারেন্সি আসে। রপ্তানি না করলে চোরাচালান হয়। ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে বাহবা পেয়েছি। রপ্তানিতেও গ্রেটার ইন্টারেস্ট আছে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্যিক দিক দিয়েও সুবিধা আছে। রপ্তানি করলে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা পাব। এমনিতে তো চোরাচালান হচ্ছে এদিক-সেদিক থেকে। আপনি সেটার কোনো ইয়ে পাচ্ছেন না। অতএব ঠিক আছে, তারা বলুক। অনেক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি বাহাবাও পেয়েছি। অনেক জায়গা থেকে বলা হয়েছে ভালো ডিসিশন।’
দায়িত্বশীল মহল থেকে অনেক কিছু বলা হয়েছে। ইলিশ পাঠানো হবে না, এমনটাও বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বশীল মহলের একজন বলেছে, আরও বড় দায়িত্বশীল মহল বলেছে পাঠানো যেতে পারে।’
ভারতে ইলিশ রপ্তানি করায় দেশের বাজারে দাম বাড়বে কি না- এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দাম তো এমনিই বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। এটির জন্য বাড়িয়ে দেবে কেন? যাই হোক, আমি মনে করি ডিসিশন হয়েছে গ্রেটেস্ট ইন্টারেস্ট। হ্যাঁ, কিছু লোকের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি না এটি বিরাট ক্ষতিকারক। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওদের (ভারতের) পেঁয়াজ আসছে না সস্তা দরে। তাহলে মানা করে দেন তাদের পেঁয়াজ খাবেন না। এগুলো ইমোশনাল কথাবার্তা, এগুলো বলে লাভ নেই। ওরা পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। পেঁয়াজ তো আসতেছে।’