করোনার মাঝে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফান সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উপকূলীয় জেলা বরগুনার জেলা প্রশাসনকে। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে জেলায় বাড়ানো হচ্ছে দেড় শতাধিক নতুন আশ্রয়ন কেন্দ্র। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একযোগে জেলার ছয়টি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আমফানে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জেলা জুড়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, রেডক্রিসেন্ট এবং সিপির সমন্বয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করতে জেলা জুড়ে চলছে মাইকিং।
প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ২৫ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। আমাদের পাঁচশত নয়টি আশ্রয়ন কেন্দ্র রয়েছে, যা এরই মধ্যে প্রস্তুত। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমরা আরো অন্তত দেড় শতাধিক আশ্রয়ন কেন্দ্র বাড়ানোর হয়েছে।
প্রস্ততির বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও বরগুনার সাতটি স্পটে বেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব বেড়ি বাঁধ দ্রুত মেরামত করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে