রংপুরের মিঠাপুকুরের ময়েনপুর পূর্বপাড়া গ্রামে গাছ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পিয়ারী বেগম নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। সোমবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস জানান, পূর্ব থেকে একটি ওছিয়তনামার জমি নিয়ে ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের সাথে আনোয়ারুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে থানায় একাধিক মামলা-মোকদ্দমাও আছে। শনিবার সিরাজুল ইসলামের বসতভিটার একটি গাছ জোরপূর্বক কাটতে যান আনোয়ারুল, তার পুত্র সাগর ও স্ত্রী শাহিনুরসহ বেশ কয়েকজন। এতে বাধা দেন সিরাজুল ও তার স্ত্রী পিয়ারী বেগমসহ অন্যান্যরা। এসময় আনোয়ারুল ও তার লোকজন পিয়ারী বেগমের মাথায় ঘরের খুঁটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পিয়ারী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
ওসি আরো জানান, নিহত পেয়ারী বেগম দুই কন্যা ও দুই পুত্রসন্তানের জননী। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসাপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য গেছে বলেও জানান ওসি।
এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা। নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার বতসভিটার জমির গাছ ওরা কাটতে এসে আমার স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করলো। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
অন্যদিকে নিহতের দুলাভাই মোকছেদুল ইসলাম, ভাতিজা রানা মিয়া ও ভাতিজি ইলিশা বেগম জানান, আমাদের চোখের সামনে তারা ঘরের খুঁটি দিয়ে নির্মমভাবে মারলো। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের এমন বিচার চাই, যাতে আর কেউ যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটায়।