সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নিয়ে যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছয়টি কমিশনের পাশাপাশি আরো অনেক কমিশন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এদিন বিকেল আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সংলাপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এ ধরনের সংলাপ বা কথাবার্তা থাকবে।
সংলাপে সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের কীভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায় এ ব্যাপারে সরকার শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে দোসরদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। গণহতায় আমাদের কষ্ট অবস্থান ছিল যেভাবে গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, ভাতার মূল ক্রীড়নক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনিসহ যারাই জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে দলগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি মাহফুজ আলম বলেন, প্রথম পর্বের আলোচনা হয়েছে। ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত জানতে চাওয়া হয়েছে। সবাই সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে দঢ় মত পোষণ করেছেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান মাহফুজ আলম।
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মাহফুজ আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, পাঁচটি সংস্কার কমিশন ঘোষণা হয়েছে, আরেকটি এক দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা হবে। প্রধান উপদেষ্টা তার বিশেষ সরকারি এবং অন্য দুইজন উপদেষ্টা সংলাপে ছিলেন। তারা অবহিত করেছেন যে কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে পলিটিক্যাল পার্টি, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলবে। তিন মাসের মধ্যে কমিশন কোনো রিপোর্ট দেবে। ওই রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর সরকার পলিটিক্যাল পার্টি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সাথে আবার কথা বলবে। পলিটিক্যাল পার্টির সাথে একটি কনসেন্সসাসে আসবে, মিনিমাম কনসেন্সসাস কতটুকু। রিফর্মের ব্যাপারে একটি কনসেন্সসাসে আসবে। এর উপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ আপনি যতটুকু রিফর্ম করবেন, ততটুকু করতে কত সময় লাগছে সেটি দেখার বিষয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এর মধ্যেই ইলেকশনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। ইলেকশনের যে প্রস্তুতি, ইলেকশন কমিশন ফর্মেশন এসব কাজ এগিয়ে যাবে। তাই এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না।