নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় গ্রেফতার ২৬ শিক্ষার্থী সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন জহিরুল ইসলাম (২০), মো: ফয়সাল হাসান (২১), মো: রায়হান হোসেন (২১), মো: রুবেল আহাম্মেদ (১৮), মো: রিয়াদ মাহমুদ (২১), মো: মেজবাউর রহমান মিল্লা (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), সোহান (২১), ইমরান হোসেন আরমান (১৮), মেহেদী হাসান অন্তর (১৯), সাগর (১৮), রোহান (১৮), শাহরিয়ার হোসেন (১৮), আহাদ মোল্লা (২২), সোহান (১৮), মাসনুন (১৮), নাঈম (১৮), ইমাম হাসান (১৮), শাকিল (১৮), সেলিম (১৮), সাকলাইন মুস্তাক (১৮), হানজালাল (২২), মশিউর রহমান (১৮), প্রান্তিক (১৮), তাছিম রহমান (১৮) ও রবিন মিয়া (১৮)।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের দেয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। গ্রেফতার ২৬ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতাররাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৬০-৭০ জন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি জোরপূর্বক বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। তারা সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালান। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সচিবালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫৪ জনকে আটক করে। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ জনকে মুচলেকা নেয়ার পর তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়। বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে, বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় শাহাবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়।
গত ২৫ আগস্ট ডিএমপি কমিশনার মো: মাইনুল হাসানের সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশেপাশের এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।