বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আমফানে পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোরে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক শিশু ও একজন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে প্রকাশ, পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির এক শ্রমিক কলাপাড়া উপজেলার নন্দ খালে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে।
জেলার গলাচিপা উপজেলায় পরিবারের সাথে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাছের ডাল পড়ে একটি শিশু মারা গেছে বলে স্থানীয় থানার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে পিরোজপুরে তিনজন মারা গেছেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া কলেজের পেছনে নিজের ঘরের পাকা দেয়াল ভেঙে গেলে তাতে চাপা পড়ে মজিবুর রহমান (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া মঠবাড়িয়ায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সন্ধ্যা ৭টায় পা পিছলে পড়ে গিয়ে গুলবানু (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা যান।
এদিকে, ইন্দুরকান্দি থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমান জানান, জেলার ইন্দুরকান্দি উপজেলায় উমেদপুর গ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরের চৌকি পর্যন্ত চলে আসায় তা দেখে আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শাহআলম (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
বুধবার দিবাগত রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
ভোলায় বুধবার রাতে গাছ চাপায় ও ট্রলার ডুবিতে দুজন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হাকিম উদ্দিন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে ও গাছ চাপায় নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া যশোরের চৌগাছায় একজন, বাগেরহাটে শরণখোলায় একজন ও সাতক্ষীরায় একজন মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে বিবিসি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমাজের্ন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকেও ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে প্রাথমিকভাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১০ জন মারা যাওয়ার তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের কাছে স্থানীয় সময় ৫টার দিকে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়াসহ বাংলাদেশ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড় আমফান আঘাত হানে। এতে সুন্দরবনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আমফানের ভয়াবহতা থেকে জানমাল রক্ষার্থে বাংলাদেশে প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।