করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদের দু’দিন আগে ঢাকার দুই প্রবেশ পথ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহনে বাধা কাটল।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় রাজধানীর গাবতলী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) দিবাগত রাত থেকেই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচলে বাধা দেয়া হচ্ছে না।
গাবতলীতে পুলিশের দুটি চেকপোস্ট নির্দেশনা মোতাবেক ‘ইন’ও ‘আউটে’র ক্ষেত্রে তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর ডিভিশনের দারুস সালাম জোনের এডিসি মাহফুজা আফরোজ লাকী। পুলিশ কর্মকর্তা লাকী জানান, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চেকপোস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কেউ যদি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার নিয়ে ঢাকা থেকে বের হয় বা প্রবেশ করে তাতে বাধা নেই। হেঁটে গেলেও বাধা নাই।
ঢাকার আরেক প্রান্তে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলামও একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস যোগে ইন-আউট করা যাবে। তবে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের চেকপোস্ট আছে বলে জানান ওসি মাজহারুল ইসলাম।
করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যে গত ২৬ মার্চ হতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার। পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করলে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথাও জানায় সড়ক পরিবহন বিভাগ।
আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত ছুটি পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়ে সরকার বলেছিল, জরুরি সেবার বাহন ছাড়া অন্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুলিশও জানিয়েছিল, ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে।
তবে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে মানুষ ফেরিতে পারাপার এবং পণ্যবাহী যানবাহনে ব্যবহার করছে। পুলিশের চোখ এড়াতে রড বোঝাই ট্রাকের ওপরে ত্রিপল বেধে যাওয়ার সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩ জন।