যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করার আগেই অভিবাস, তাদের নিয়োগকর্তা আর তাদের নিয়ে কাজ করা গ্রুপগুলো সতর্ক হয়ে গেছে। কারণ একটাই। ট্রাম্প লাখ লাখ লোককে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ফলে অনেকে আশঙ্কা করছেন, নতুন প্রশাসন তাদের পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আবার অনেকে আশা করছে, ট্রাম্পের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি ভালো হবে।
ট্রাম্পের মিত্ররা দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সামাল দেওয়ার কথা ভাবছেন। আর এ কাজে তারা বহিষ্কার বা ডিপোর্ট ও আটককেন্দ্রের ওপর ভরসা করছেন। প্রথম দিকে অপরাধ করা অবৈধ অভিবাসীদের ওপর নজর থাকবে বলে ট্রাম্প দলের এক সদস্য সিএনএনকে জানিয়েছেন।
তবে অনেকেই মনে করছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই বহিষ্কার পরিকল্পনাটি আমেরিকান সম্প্রদায়গুলোর খুবই গভীরে প্রবেশ করবে।
তবে এর বিরুদ্ধে থাকা লোকজনও বসে নেই। প্রাচীনতম হিসপানিক নাগরিক অধিকার সংগঠন দি লিগ অব ইউনাইটেড ল্যাতিন আমেরিকান সিটিজেন্স ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অর্থ ও আইনজীবী নিশ্চিত করছে। তারা নির্মম, নির্দয় অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করছে।
সংগঠনটির সিইও জুয়ান প্রয়ানো বলেন, ব্যাপক হারে বহিষ্কার করা হলে লাখ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক সময় শিশুরা তাদের অভিভাবক হারাবে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নষ্ট হবে, জীবিকা ধ্বংস হবে।
আরেক আইনজীবী লি গালের্ন্ট বলেন, আমরা প্রায় এক বছর ধরে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বেিশষ করে বহিষ্কারকাজে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ন্যাশনাল ইমিগ্রেন্ট জাস্টিজ সেন্টারও বলেছে, তাদের আইনজীবীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত।