শীত নামছে। গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এরই মধ্যে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা তিনদিন ধরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। ডিসেম্বর মাস থেকে সারা দেশে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শীতে বাতাসের আর্দ্রতা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় অনেকটা কম থাকে। এ কারণে ত্বক শুষ্ক থাকে। আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক হয়ে পড়ে মলিন। তবে একটু সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমে খুব সহজেই শীতকালে ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। দামি প্রসাধনী নয় বরং ঘরোয়া টুকিটাকি সরঞ্জাম ব্যবহার করেই ত্বককে রাখা যায় তারুণ্যদীপ্ত।
ময়েশ্চারাইজার: শীতের শুষ্কতার হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে ময়েশ্চারাইজার জরুরি। এ সময় ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাজারের ময়েশ্চারাইজার ছাড়াও খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহারেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া য়ায়।
ফেস প্যাক: শীতে ত্বক ভালো রাখতে ফেস প্যাকের জুড়ি নেই। সপ্তাহে অন্তত দুইবার দুধের সর, মধু ও বেসনের মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা বাড়বে। পাশাপাশি এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। এছাড়া টক দই ,বেশন ও হলুদের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কুসুম গরম পানির ব্যবহার: শীতে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা উচিৎ নয়। এতে ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এজন্য হালকা বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ডায়েট ও শরীরচর্চা: ত্বক সুন্দর রাখার আরেকটি উপায় হলো নিয়মিত ডায়েট মেনে চলা ও ব্যায়াম করা। ত্বকের যত্নে নিয়মিত পানি পান অত্যন্ত জরুরি।
নিয়মিত পানি পান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে বের করে দিতে সাহায্য করে। পানির পাশাপাশি খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও চর্বি পরিহার করতে হবে। খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত আমিষ না রেখে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। সবুজ শাক-সবজির ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে ভীষণ কার্যকর।