অনেকবার নিষেধ করার পরেও দেহব্যবসা ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না। তাই লিভ ইন পার্টনার শাশুড়িকে খুন করল তারই জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অশোকা গার্ডেন এলাকায়। অভিযুক্ত যুবক শাহরুখ খান ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম শাহিন। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ও তার জামাই শাহরুখ ভোপালের অশোকা গার্ডেন এলাকার অশোক বিহার কলোনির একটি ফ্ল্যাটে লিভ ইন সম্পর্কে থাকছিল। জামাইয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি দেহব্যবসাও করত শাহিন। যা অপছন্দ ছিল শাহরুখের। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার দু’জনের মধ্যে বচসাও হয়েছে। কিন্তু, কোনও অবস্থাতেই দেহব্যবসা ছাড়তে রাজি ছিল না শাহিন। শনিবার রাতে অশোক বিহারের বাড়িতে ফেরার পর শাহিনকে দেহব্যবসা বন্ধ করার জন্য চাপ দেয় শাহরুখ। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসাও শুরু হয়। যার জেরে রবিবার শাহিনকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুনের পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় সে। তারপর একটি বন্ধুকে সমস্ত ঘটনার কথা জানিয়ে ফ্ল্যাট ছেড়ে পালায়। মৃত ও অভিযুক্তের পরিচিতদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে শাহিনের মেয়েকে বিয়ে করেছিল শাহরুখ। কিন্তু, কয়েকমাস যাওয়ার পর শাশুড়ির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে গড়ে ওঠে তার। কিছুদিন বাদে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে অশোক বিহার কলোনির একটি ফ্ল্যাটে শাহরুখের সঙ্গে লিভ ইন করতে থাকে শাহিন। এর মাঝে বেশ কয়েকবার দেহব্যবসার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারও করছিল পুলিশ। যা জেরে অশান্তিতে ভুগছিল শাহরুখ। এমনকী বিষয়টি নিয়ে তাকে বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের অনেক কটূক্তিও শুনতে হয়। এই কারণেই দেহব্যবসা বন্ধ করার জন্য শাহিনকে চাপ দিচ্ছিল সে।