জামালপুরে সংসদ সদস্যসহ এক দিনে আরো ৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, দু’জন স্বাস্থ্য সহকারী ও র্যাব সদস্যের ছয় বছরের এক ছেলে।
এছাড়াও করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ফলোআপ রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে ছয়জনের (সদর ২, ইসলামপুর ১ ও বকশীগঞ্জ ৩)।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ইসলামপুর উপজেলায় ১৭ জন, বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১৫ জন, সদর উপজেলায় আটজন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় পাঁচজন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় তিনজন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় দুজন ও মেলান্দহ উপজেলায় একজন।
এ নিয়ে জামালপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৪ জনে। অন্যদিকে জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩২ জন এবং মারা গেছেন চারজন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলায় জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সংসদ সদস্য, তার ব্যক্তিগত সহকারী, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পুরুষ ও নারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দুই ব্যক্তিগত সহকারী এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আওতাধীন একজন নারী ও একজন পুরুষ স্বাস্থ্য সহকারীসহ ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জামালপুর সদরে বেলটিয়ায় র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের একজন সদস্যের ছয় বছরের ছেলের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনার উপসর্গ সন্দেহে ওই র্যাব সদস্য, তার স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে, র্যাব ক্যাম্পের ভেতরে আবাসিক ভবনে তাদের বাসায় ওই শিশুকে তার মায়ের কক্ষে হোম আইসোলেশনে এবং শিশুটির বাবা ওই র্যাব সদস্যকে আলাদা কক্ষে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সদরের ইউএইচএফপিও ডাক্তার লুৎফর রহমান।
এ বিষয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রণয় কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, নতুন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ যেখানে যা যা করা দরকার সেভাবেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জামালপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯১ জন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ২৭ জন, মেলান্দহ উপজেলায় ৫৩ জন, বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৩৯ জন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, দেওয়ানগঞ্জে উপজেলায় ২৪ জন ও ইসলামপুর উপজেলায় ৫৪ জন।
অন্যদিকে জামালপুরে মোট এক হাজার ৫০৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ২৯৯ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২০৫ জন।
করোনায় আক্রান্তদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করে এবং হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা ও যথাযথ পরামর্শ প্রদান করছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত পাঁচ জনকে ময়মনসিংহ ও ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৭০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮০ জনের।