বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ পরিবারের উদ্যোগে পালিত হলো ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ জুন, ২০২০
  • ২৩৮ বার

৭ জুন ১২০১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হলো ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের সকল বীর শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা জানানো হয়।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্যের উপর সূচনা বক্তব্য রাখেন বাকসু’র সাবেক জিএস মুক্তিযোদ্ধা ডঃ প্রদীপ রঞ্জন কর এবং মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন- সর্বজনাব সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, ইঞ্জিঃ মোহম্মদ আলী সিদ্দিকী, এ্যাডঃ শাহ মোহম্মদ বকতিয়ার, শরিফ কামরুল আলম হিরা, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধূরী, মোহম্মদ জাহাঙ্গীর করিম, মেসবা অহমেদ, ইলিয়ার রহমান, শাহনাজ মমতাজ, রুমানা আকতার, ইঞ্জিঃ মিজানুল হাসান, মঞ্জুর চৌধূরী, মোহম্মদ আকতার হোসেন, সাদেকুল বদরুজামান পান্না, মাহাবুবুল খসরু, মোহম্মদ মাঈনদ্দিন, মোঃ আলমগীর, মোঃ জামাল বস্ক, মোঃ মিজনুর রহমান চৌধূরী, মোঃ আলীম উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। কনফারেন্সে বিপুল সংখ্যক নেতা-কমী অংশ গ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা আদায়ের লক্ষ্যে পূর্ব বাংলার আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। শহীদের রক্তে ৬ দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বাংলায়। রাজপথে নেমে আসে বাংলার লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষ।
৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। ৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত হয় স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। তাৎপর্যপূর্ণ স্বাধীনতা যার যৌতিক পরিনতি। বাঙ্গালীর মুক্তির সেই ৬ দফার সিঁরি বেয়ে গড়ে ওঠা গণঅভ্যূন্নত, সর্বশেষ একসাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তিপাগল বীর বাঙ্গালী যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com