পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানো হচ্ছে আজ বুধবার। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৫ ও ২৬ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হবে স্প্যানটি। আর এ কাজ নির্বিঘ্নে করার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে ৮ ঘণ্টার জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেল দিয়ে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারসহ সব ধরনের জলযান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
তবে ভোগান্তি এড়াতে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাংগা মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প রুটে (ঢাকা-পাটুরিয়া-ভাংগা) চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সেতু বিভাগ।
এর আগে গত সোমবার (৮ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটিতে বসবে স্প্যানটি। তবে এ দুই খুঁটির মাঝামাঝি থাকছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের চ্যানেলটি। ৩ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানটি স্থাপনে নিরাপত্তার স্বার্থে ৮ ঘণ্টার জন্য এ নৌরুট বন্ধ রাখা হচ্ছে। ৩১তম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের শেষ স্প্যান। এটি বসে গেলে সেতুর বিশেষ একটি ধাপ সম্পন্ন হবে। এতে বসে যাওয়া ৩১তম স্প্যানের মধ্যে ২৯টি স্প্যান একসঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ জাজিরা থেকে এই স্প্যান যুক্ত হয়ে মাওয়ার কাছাকাছি চলে আসবে।
সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪২তম খুঁটি থেকে ১৩তম খুঁটি পর্যন্ত এই সেতু বন্ধন হতে যাচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ব্যস্ততম নৌরুটের কারণে ২৬তম খুঁটি স্থাপনে বিলম্ব হয়। সেখানেও বিকল্প চ্যানেল কেটে দিয়ে খুঁটিটি স্থাপন করতে হয়েছিল। বর্ষা মৌসুমে জাজিরার ৪২তম খুঁটি থেকে মাওয়ার ১৩তম খুঁটি এলাকা পর্যন্ত লাখ লাখ ঘন ফুট পলি পরে নব্যতা সৃষ্টি হয়। তাই ভরা বর্ষার আগেই এই স্প্যান স্থাপন করা না গেলে নাব্যতা সঙ্কটের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতো। এজন্য বর্ষার পলি আসার আগেই এই স্প্যান স্থাপন হতে যাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্টরা খুশি।
এখন মাওয়া প্রান্তে আর মাত্র ১০টি স্প্যান বসানো বাকি থাকছে। যা ভরা বর্ষায়ও খুঁটির ওপর বসাতে নাব্যতা বাঁধা হতে পারবে না। কারণ মাওয়ার এই অংশে মূল পদ্মা। সবসময় স্রোত বইতে থাকে। এখানে পলি জমতে পারে না। এই অংশের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে দুই স্প্যান বসেছে আগেই। এখন এই দুই স্প্যানের দুপাশে বাকি ১০ স্প্যান বসে গেলেই পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।