বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর গত ১০ জুন দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অপহৃত ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ শ্রেণিতে পড়ে। পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভুইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো।
তিনি বলেন, গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রধান সড়কে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি শরণখোলা থানায় মৌখিভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন তিনি। গত বুধবার (১০ জুন) অপহরণকারীরা মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচরাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের পর মুন্না তাদের বাড়ির দোতলায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এ সময় তাকে সহযোগিতা করতো মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বাবা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালছে।
আজ শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হবে বলেও জানান শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।