সিলেট সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর মেয়র হন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। দ্বিতীয় মেয়াদেও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। মেয়রের আসনে না থাকলেও সিলিটবাসীর কাছে ‘মেয়র কামরান’ হিসেবেই তিনি পরিচিত ছিলেন।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান অল্প বয়সেই রাজনীতিতে পা রাখেন। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র থাকাবস্থায় তিনি সিলেট পৌরসভার কমিশনার নির্বাচিত হন। জনপ্রিয়তার কারণে এলাকাবাসীো জোর করে তাকে কমিশনারে দাঁড় করান।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান টানা তিনবার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ সম্মেলনে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সরে যান। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
২০০৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাগারে যেতে হয় কামরানকে। তখন ১৮ মাস তিনি কারাবন্দী ছিলেন। কারাগারে থেকেই ২০০৮ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেন কামরান। নির্বাচনের দিনও তিনি কুমিল্লা কারাগারে বন্দী ছিলেন। এ নির্বাচনে ৮০ ভাগ ভোটই কামরানের বাক্সে জমা পড়েছিল। সিটি করপোরেশনের সকল ভোটকেন্দ্রে বিজয়ী হয়ে তিনি নজির সৃষ্টি করেন। এমনকি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীর জামানতও বাতিল হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কীর্তি আর কেউই গড়তে পারেননি।
তবে সিলেটের জনপ্রিয় এ নেতা ২০১৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশেনের তৃতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে যান। ২০০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও তিনি আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হারেন।