নারায়ণগঞ্জে গত তিনদিন ধরে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে মানুষের মাঝে আতংক এবং দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে। জানা গেছে কিট সংকটে তিনদিন ধরে বন্ধ করোনা পরীক্ষা। পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। সেই সঙ্গে দুই মাসেও হাসপাতালের আইসিইউ চালু হয়নি।
সংকট কাটাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার কথা জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তার ভাষ্য মন্ত্রীকে বলতে বলতে আমি ক্লান্ত। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নমুনা দিতে ব্যর্থ হন নারায়ণগঞ্জের করোনা পরীক্ষা করতে আসা মানুষ। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিনই ঘণ্টার ঘণ্টার পর হাসপাতালের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে অনেককে।
গত তিনদিনে শত মানুষের গল্প একই। করোনা পরীক্ষার দুর্ভোগ ছাপিয়ে গেছে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ককে। করোনার হটস্পট চিহ্নিত হবার পরই নারায়ণগঞ্জের তিনশ’ শয্যা হাসপাতালটিকে কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়। নমুনা পরীক্ষার জন্য বসানো হয় পিসিআর ল্যাব। গত ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশন এবং ৬ মে চালু হয় পিসিআর ল্যাবটি। কিন্তু ১৮ জুন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ল্যাবের কার্যক্রম।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের জানিয়েছে রিপোর্ট আসেনি। সব কার্যক্রম বন্ধ। আমরা যাবো কোথায়? এদিকে, করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ ইউনিট চালু হয়নি এখনো। এ কারণে গুরুতর রোগীদের জীবন বাঁচাতে ছুটতে হচ্ছে রাজধানীতে।
কিট এবং সরঞ্জাম সঙ্কটের কথা জানিয়ে ৩শ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামুসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয় বলেন, কিট আসা মাত্রই আমরা পরীক্ষা শুরু করে দেবো। ৩ দিন টেস্ট বন্ধ আছে। কবে কিট পাবো জানি না। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, আমি অসংখ্যবার যোগাযোগ করেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে একাধিকবার ফোন করেছি। আমি হতাশ এবং ক্লান্ত হয়ে গেছি, তবুও লাভ হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যার হাসপাতালে সাড়ে ৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় ইতোমধ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১শ পেরিয়েছে।