করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) একজন এএসআইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ইউনিটে দু’জন এবং ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে একজন মারা যান।
শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের জাকির হোসেন (৫৬) নামে এক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেবাচিমে ভর্তি হন। পরে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত জাকির হোসেন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পরীক্ষার জন্য নুমনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেফায়েত নগরের বাসিন্দা আব্দুল জলিল মোল্লার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৪০)। তিনি গত ২১ জুন রাত ৯টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিমে ভর্তি হয়েছিলেন।
মারা যাওয়া ওই দু’জনকেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাবিবুর রহমান (৫৩) নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) একজন এএসআই মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি গ্রামে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ১৬ জুন অসুস্থ হয়ে পড়লে হাবিবুর রহমানকে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতে তাকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘মৃত এএসআই’র আগে থেকেই লিভারের সমস্যা ও ডায়াবেটিক ছিল। কোভিড পজেটিভের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। মৃত্যুর পরে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
সূত্র : ইউএনবি